SSC পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বার্তা-02
সম্মানিত অভিভাবক, আসসালামু আলাইকুম।
শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কয়েকটি ব্যাপারে আপনাদের অংশীদারিত্বের প্রত্যাশায় আবারও কিছু কথা লেখার তাগিদ অনুভব করছি। মহামারীর দ্বিতীয় বছরে করোনা সংক্রমণের যে গতিশীলতা তাতে এখনই স্কুল খুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পর্যায়ক্রমে ধীরে হলেও বোর্ড পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে যে কোন মুহূর্তে নির্দেশ আসতে পারে। বর্তমানের তিক্ত সময়ের মাঝে SSC পরীক্ষার্থীরা অনিশ্চিত সময় পার করছে। আসলে এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা হবে না’এটা ভেবে পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে পাঠ প্রবণ হয়ে জানার পরিধিটাকে আরো বিস্তৃত করতে হবে। নতুবা তারা অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থায় উপনীত হয়ে আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারে কিংবা শূন্যতা এসে তাদের গ্রাস করতে পারে। সে কারণে তিক্ততার মাঝেও জীবনের মূল সুরকে ধরে রাখতে তাদের পাঠ প্রবণতার প্রতি একনিষ্ঠভাবে মনোযোগী হতে হবে। পরীক্ষার জন্য তাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে হবে। চিন্তা ভাবনায় নূতন করে ‘শান’ দিতে হবে। এ কাজে আপনাদের সহায়তা একান্তভাবেই কাম্য। SSC মডেল টেস্ট-২ এর খাতা জমা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ নিজের মতো করে পাঠ প্রস্তুতি নেবে। তাদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করবে। তারপর ২৭/০৬/২০২১ তারিখ হতে সপ্তাহে ৩ দিন ২টি করে ক্লাসে তারা অংশ গ্রহণ করবে। এই ক্লাসগুলোতে তারা শিক্ষকের সহায়তায় তাদের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান করবে। ২ সপ্তাহ পরে আবারও সম্পূর্ণ সিলেবাসের ওপর তারা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। এভাবে ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে। জানা পড়াও অনুশীলন না করলে এক পর্যায়ে ভুলে যেতে পারে। তাই আমরা অনুশীলনের ওপর বেশি মাত্রায় জোর দিতে চাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষেই অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের নিজের পরিচিতিকে ভবিষ্যতে ঈর্ষনীয় স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এই জন্য দরকার নিরলস সাধনা। তাই প্রতিকূল সময়ের মধ্যে হলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অধ্যবসায়ী হয়ে তাদের নিরলসভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। কোভিড পরিস্থিতিতেও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা শেখানোর কাজটা কী করে সবচেয়ে ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে শিক্ষকরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা জীবন গড়ার লক্ষ্যে এখনই প্রতিটি দিনকে পুরোপুরি পাঠের জন্য কাজে লাগাবে। আমি আশা করব অভিভাবকগণও এ কাজে অতীতের মতোই তাদের প্রিয় সন্তানের পাশে থেকে তাদের পাঠে অনুপ্রেরণা যোগাবেন।
প্রত্যেকের সুস্থ-সুন্দর-নির্মল জীবন প্রত্যাশায়-
কর্নেল মুজিবুল হক সিকদার
অধ্যক্ষ
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ